ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিহত
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই তথ্য..![]() |
মোহাম্মদ বাঘেরি |
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েল এই হামলাকে 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' হিসেবে অভিহিত করেছে, যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অকার্যকর করা। এই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা এবং দুই পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল পাঁচ ধাপে ইরানে হামলা চালিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলের এক অজ্ঞাত সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত আটটি শহরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে হামলা চালানো হয়েছে, যদিও তৃতীয় দফার হামলা চলমান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেসব স্থানে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
* রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা: তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আবাসিক ভবনেও হামলা হয়েছে বলে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
* তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ শহর: এখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত।
* তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর: একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
* তেহরানের দক্ষিণে ইস্পাহান শহর
* তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর
* পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর
ইরানের কঠোর জবাবের অঙ্গীকার
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের চালানো প্রাণঘাতী এসব হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। এই হামলার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।