{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

রাত জেগে সিরিজ় দেখেই চোখের তলা অন্ধকার? কোন ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে?

রাত জেগে সিরিজ় দেখেই চোখের তলা অন্ধকার? কোন ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে?
প্রকাশঃ
অ+ অ-

ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ আর টেলিভিশন এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অবসর সময়ে সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু এই বিনোদন যখন অভ্যাসে পরিণত হয় এবং রাত জাগার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর। বিশেষ করে চোখের নিচে কালচে দাগ বা 'ডার্ক সার্কেল' একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা অনেকেই রাত জাগার ফল হিসেবে দেখেন। কিন্তু এর পেছনে শুধু ঘুম না হওয়া নয়, কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবও দায়ী হতে পারে।
চোখের তলার কালি এবং ভিটামিনের সম্পর্ক
ঘুমের অভাবে চোখের চারপাশে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়, যার ফলে ত্বক পাতলা হওয়ার কারণে কালচে দেখায়। কিন্তু এর পাশাপাশি ভিটামিন কে, ভিটামিন বি১২, এবং ভিটামিন ই এর অভাবও চোখের নিচে কালি পড়ার একটি বড় কারণ হতে পারে।
 * ভিটামিন কে: এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন কে-এর অভাবে ত্বকের নিচে রক্ত জমে কালচে দেখানোর প্রবণতা বাড়ে, যা চোখের নিচের কালির কারণ হতে পারে।
 * ভিটামিন বি১২: এই ভিটামিন রক্ত ​​কোষ তৈরি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এর অভাবে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে, যা ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব এবং চোখের নিচে কালচে দাগের কারণ।
 * ভিটামিন ই: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে। ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যেতে পারে এবং চোখের নিচের ত্বক আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে কালচে দেখাতে পারে।
প্রতিকার কী?
চোখের নিচের কালি দূর করতে চাইলে কেবল পর্যাপ্ত ঘুম নয়, খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
 * পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের অভাব চোখের নিচের কালির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।
 * সুষম খাদ্যাভ্যাস:
   * ভিটামিন কে: সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রোকলি, বাঁধাকপি এবং লেটুস পাতার মতো খাবারে প্রচুর ভিটামিন কে থাকে।
   * ভিটামিন বি১২: মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য এবং কিছু সুরক্ষিত খাদ্যদ্রব্যে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। নিরামিষাশীদের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।
   * ভিটামিন ই: বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, অ্যাভোকাডো এবং কিছু উদ্ভিজ্জ তেল ভিটামিন ই এর ভালো উৎস।
 * জল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং ত্বক সতেজ থাকে।
 * স্ক্রিন টাইম কমানো: একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিয়মিত বিরতিতে চোখকে বিশ্রাম দিন।
 * ঠান্ডা সেঁক: চোখের নিচে ঠান্ডা টি ব্যাগ বা শসার টুকরো ব্যবহার করলে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
যদি উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো নেওয়ার পরেও চোখের নিচের কালি না কমে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসার নির্দেশনা দিতে পারবেন। সুস্থ জীবনযাপন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসই পারে আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে, যার প্রতিফলন ঘটে আমাদের বাহ্যিক রূপে।
একটি মন্তব্য করুন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন