{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে চীন’

ইসরায়েলি হামলায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, ইরানের পাশে থাকার অঙ্গীকার
প্রকাশঃ
অ+ অ-

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক ফোনালাপ করে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন। ফোনালাপে তিনি ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ইরানের প্রতি চীনের সমর্থন

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ওয়াং ই বলেন, চীন ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার ওপর ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি হামলাকে "নির্মম" আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি সরাসরি ইরানি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। ওয়াং ই আরও বলেন, চীন সবসময় ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েলি হামলা "একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত" তৈরি করেছে, যা গোটা অঞ্চলের জন্য "বিপর্যয়কর পরিণতি" ডেকে আনতে পারে। এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক প্রভাব এবং ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।

ইসরায়েলের প্রতি চীনের কড়া বার্তা

অন্যদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিideon সার-এর সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং ই স্পষ্ট জানিয়েছেন যে "ইরানের ওপর ইসরায়েলের বলপ্রয়োগ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।" তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেখানে এখনো ইরানি পারমাণবিক ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছে, সেখানে এমন সামরিক হামলা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে কূটনৈতিক সমাধানের পথ এখনো শেষ হয়নি জানিয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, "বলপ্রয়োগ কখনোই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে পারে না।" চীনের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দেশটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নিজস্ব সমাধানের প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

এই ফোনালাপগুলো এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে, এবং এই অঞ্চলে যেকোনো ধরনের নতুন সংঘাত বিশ্বব্যাপী মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের এই কূটনৈতিক তৎপরতা ইঙ্গিত দেয় যে তারা এই সংকট নিরসনে একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী।

একটি মন্তব্য করুন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন